Skip to main content Link Search Menu Expand Document (external link)

গতানুগতিক তুমি

কেউ তোমার কথা ভাবেনি,
তোমার কথা চিন্তাও করেনি,
তোমার জন্য এক লাইন কবিতা (!)
কেও কখনো ভুলেও লেখেনি ।

জানালার ওপাশ থেকে চেয়ে থেকেছি
আমরা, প্রত্যূষে হাটখোলার বাজার দেখেছি
তোমাকে হয়তোবা প্রতিদিন নিভৃতে
হেঁটে যেতেও দেখেছি —
তোমার দিকে চেয়ে দেখিনি,
ভাবিনি কোনদিন তোমার কথা ।

তবুও প্রতিদিন তুমি ডান হাতটা
সন্তর্পনে চুলগুলোর মাঝ দিয়ে
চালিয়ে, ঘাড়টা আলতো করে এলিয়ে
বাম পাশ দিয়ে সাঁ করে ছুটে যাওয়া
গাড়িটা থেকে চোখ ঘুরিয়ে
আকাশে ডানা মেলে দেয়া পাখিটাকে ভাবিয়ে
স্বপ্নের নীল রঙেই বরং হারাতে;
নদীর ধার ঘেঁষে হেঁটে যেতে চাইতে
প্রিয়তম কারো বাহু-হাতে ——
নিজের দূরন্ত ছেলেটির পিছনে পিছনে
ছুটে যেতে চাইতে বিস্তৃত উঠোনে ।

তোমার স্বপ্নগুলো এলোমেলো ভাবে
জাল বুনতো — স্বপ্নের গাঁটছাড়া বুননে
সেসব অপরূপ স্বপ্ন-ভাবনায়
বরং রূপ পেয়ে অন্তরাত্মা (তোমার) ঝলমলিয়ে
হেসে উঠতো ——
তোমায় ভাবাতো, তোমায় ভাবতো ।
তুমি নিজেই নিজেকে ভেবে হাসতে
আর আনমনে বলে উঠতে,
ধুশ্‌। — “কাজে যেতে হবে যে!”

প্রতিদিন,
সূর্য উঠে পূর্বে, আকাশে হেঁটে
ঠিকই পৌঁছে যায় পশ্চিমে আর
ঢলে পড়ে দিন শেষে, কাজের আয়াসে ।
তুমি সন্ধ্যাতে তখনো অবসরহীন অবকাশে
তোমার বর্ণহীন কাজগুলো চেয়ে দেখতে
একই মলিনতায় বয়ে চলেছে এতগুলো দিন
একই কাজ, একই ভাবে, অক্লান্ত একঘেয়েমিতে !

তুমি তোমার স্বপ্নগুলো নিয়ে
আলতো করে বসতে, কোন ছুটির অবসরে
স্বপ্নগুলো ছুঁয়ে ছুঁয়ে যেতো;
রংমেলা প্রজাপতি ডানা ঝাঁপটাতো যেনো!
রঙ-গুলো তোমার হতো না কোনদিন ॥

তবুও স্বপ্নগুলো নিয়ে স্বপ্ন দেখে যেতে —
‘স্বপ্ন হবে সত্যি একদিন’ ॥

তুমি জানতে,
তোমার ঐ সাধ পূর্ণ হবেনা কোনদিন,
আহ্লাদখানা তোমার নিছকই মূল্যহীন;
প্রেয়সীর মুখ চেয়ে ঘরে ফেরা হয়নিই কোনদিন !
স্বপ্নগুলো সযতনে তাই রেখে গেল ——
তোমার দুরন্ত ছেলেটির জীবনে পূর্ণ হবে একদিন ।

ছেলেটি তোমার এখন
স্বপ্নগুলো দেখে প্রতিদিন…
ডান হাতটা
সন্তর্পনে চুলগুলোর মাঝ দিয়ে
চালিয়ে, ঘাড়টা আলতো করে এলিয়ে
বাম পাশ দিয়ে সাঁ করে ছুটে যাওয়া
গাড়িটা থেকে চোখ ঘুরিয়ে
আকাশে ডানা মেলে দেয়া পাখিটাকে ভাবিয়ে
স্বপ্নের নীল রঙেই হারায় ॥

তোমার ছেলেটির জন্য
একটি কবিতা অন্তত আজ
লেখে যেতে চাই ।।

সনির্বন্ধ ২০১১-০৭-২১ ঢাকা