আলোড়ন তোলা আলো
কিংকর্তব্যবিমূঢ়, অন্ধকার বিস্ময়ে
সকাল হবার ঠিক আগে
আমি উঠেছিলাম প্রাতে, তোমার প্রাণে
আলোড়ন তোলা আলো হবো বলে ।
বিস্তৃত হাসি হয়ে আমি হেসেছিলাম ঠোঁটে,
কান্নার নামটি রটিয়ে আমি ডেকেছিলাম তোমাকে
অবাক চোখে তাকিয়ে দেখেছিলাম
ধরেছিলাম তোমার হাতে, তোমারই আশ্রয়ে …
ছোট দুটি হাতে, জুলুজুলু আয়েশীচোখে
টিংটিং করে ছুটে যেতে চাইতাম,
আড়াআড়ি জগৎ ভেবে পা ছুটিয়ে এদিক সেদিক,
ঘরের কোণা থেকে আড়কোণে ।
বিস্ময় ভরা মনে, ‘কেনো? কেনো?’ প্রশ্নে
তোমায় জালাতন করে, বিস্মৃত সেই কালে
খৈ ফোটাতাম কথার ।
আকাশে নীল দেখে, সাগরের ঢেউ গুণে
সী-স আর দোলনাতে দুলে
সবুজ ঘাসের মাঠে দৌঁড়ে ঝাঁপটে
সারাদিন এলোমেলো করে তোমারই কাছে
ছুটে আসতাম ঠিকই সন্ধ্যাকালে ।
সেই বিস্ময়ভরা চোখ নেই, প্রশ্নের উত্তর
আজ ঠিকই জালে-জালে খুঁজে নিই;
কাজের অবসরে আজ তাও অবসরহীন অবকাশেও
মনের মেঘে হারাবার তাড়া নেই ।
এখন
বিস্মৃত সেইসব দিনে আবারো ফিরে
যেতে চাই,
তোমার কাছে-কাছে থাকবো, তাই ।
তোমার প্রাণে
আলোড়ন তোলা আলো না হই
তোমার স্নেহস্পর্শে সুস্থির হয়ে বসতে চাই।
সনির্বন্ধ
২০১১-০৮-১৬
ঢাকা